সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: প্রকল্প হলে টাকা চুরি করা যায় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি। তিনি বলেন, ‘সিলেট পুরাতন কারাগারের যখন কয়েদীরা থাকতো তখন মূল প্রাচীরের বাইরে নতুন কোন প্রাচীর নির্মাণের প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু এখানকার জেল কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন, মূল প্রাচীর থেকে ২০ মিটার দূরে এসে আরেকটি সীমানা প্রাচীর তৈরি করবেন। আর এই জন্য তিনি প্রকল্প নিয়েছেন, টাকা-পয়সাও জোগাড় করেছেন। তিনি এমন একটা ভাব দেখাইছেন, যে আরেকটি দেয়াল না হলে উনার কয়েদী চলে যাবে। এক্কেবারে বাতুল! যারা এই প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন তারা বিষয়টি খেয়াল করেননি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখানে নতুন করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের যে প্রকল্প তারা করেছে সেটা খামাখাই, সরকারের অর্থ নষ্ট করা। প্রকল্প হলে কিছু টাকা কামাই করতে পারবে এই জন্য এর পেছনে লেগে আছে। এটার কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের মেয়র, সিলেটের জেলা প্রশাসকও বলেছেন এটার কোন প্রয়োজন নেই। অমি এই প্রকল্প বন্ধের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাথে আলাপ করবো।’
শুক্রবার (৮ জুলাই) সিলেট নগরের ঐতিহ্যবাহী ধোপাদিঘির পাড়ে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ পরিদর্শন শেষে সিলেটের ডিআইজি (প্রিজন) এর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে এসব মন্তব্য করেন সিলেট-১ আসনের এ সাংসদ।
গেল মাসে ভারত সরকারের অর্থায়নে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ধোপাদিঘির পাড়ে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ওয়াকওয়েতে লাগানো ল্যাম্পপোস্ট খুলে ফেলে কারা কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে সিসিক ও কারা কর্তৃপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক ছুটে যান সিলেট সিটি করপেরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কাউন্সিলররা।
পরিদর্শন শেষে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এসএমপি কমিশনার ও সিলেটের জেলা প্রশাসকে জানান। এরপ্রেক্ষিতে ঐতিহ্যবাহী ধোপাদিঘির পাড়ে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ পরিদর্শনে আসেন ড. মোমেন।